নিজেকে স্মার্ট করে তুলার উপায়

How to be Smart

আজকে আপমি আপনাদের বলব কিভাবে আপনি নিজেকে স্মার্ট করে তুলবে step by step.

স্মার্ট হয়ে  পটান। স্মার্টনেস হল মেয়ে পটানোর আসল কৌশল।

স্মার্টনেস কি?

 আজকাল মেয়ে  পটাতে চান কিংবা সবার মন পেতে আপনার থাকতে হবে  স্মার্টনেস। আর সবাই চাই নিজেকে একটু স্মার্ট দেখতে, নিজেকে একটু সুন্দর,  গুছালো দেখাতে।

স্মার্টনেস  বলতে শুধু আপনার আচরণ নয়। স্মার্টনেস আপনার সবকিছুরই পরিচয় বহন করে।তাইতো সব মোটিভেশনাল স্পিকার স্মার্ট হওয়াটাকে এত বেশি গুরুত্ব  দেয়। কিন্তু হওয়ার জন্য আপনাকে কতগুলো নিয়ম মেনে চলতে হবে।

স্মার্ট হওয়ার কৌশল কি কি?

1.  মুড/এডিটিউট

2. আচার-আচরণ
3. ভাষা
 4. পোশাক পরিচ্ছেদ

  মুড/এডিটিউট

স্মার্ট হওয়ার জন্য প্রধান ধাপ হল মুড। অনেকেই মনে করে মুড কিছুই না।আপনাদের মুড অথবা এডিটিউট নিয়ে একটা উদাহরণ দিই, আচ্ছা বলেন তো বনের রাজা সিংহ কেন? বনে সবচেয়ে দ্রুতগামী প্রাণি হল চিতা, এবং সবচেয়ে বড় প্রাণী হাতি কিন্তু বনের রাজা সিংহ কেন ? কারণ একটাই তার মুড/এডিটিউট রাজার মত। 

তাদের ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। একজন মানুষের মুডই তার সম্পূর্ণ পরিচয় বহন করে। অনেকতো মুড মুড বললাম, এবার আপনাকে মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে আপনার মুডটাকেমন নেওয়া উচিত? এবার আমি কয়েকটা উদাহরণ দিয়ে আপনাদের বোঝাই দেই যে আপনাদের কেমন মুড নেওয়া উচিত?

মনে করেন আপনি কোন নতুন/পুরাতন জায়গায় গেছেন। এখন আপনি এমন মুড নিবেন যেন  তারা মনে করে আপনাকে মুঠামুঠি সম্মান করে। 

মনে রাখবে আপনি অতিরিক্ত মুড নিবেন  এক্ষেত্রে যেটি হয় যে আপনাকে ঠিকিই সবকিছু দেবে আপনার প্রতি  যত্নবান হবে কিন্তু তা মন থেকে করবে না।

মনে মনে তারা আপনাকে হিংসা করবে । মানে আমি বুঝাইতে চাইছি যে খাবার দিলে সবকিছু খেয়ে পেলবেন না এবং  একদম না খেয়েও থাকবেন না। আশা করি মুডের ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন।
 
এবার আসি দ্বিতীয়টিতে
স্মার্ট হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। একজন মানুষ কোন শ্রেণীর এবং তার রুচি কেমন তা নির্ভর করে তার আচরণের উপর। কেউ চাইনা তাকে কেউ বলুক যে তার আচরণ সুন্দর নাই কিন্তু এটাই সত্য যে আমাদের অনেকই আচরণ সুন্দর নেই।
 
এবার আচরণ কিভাবে ঠিক করবেন? আচরণ সুন্দর করার জন্য আপনাকে প্রথমে সম্মান দীতে শিখতে হবে। তাই আমাদের সমাজের যারা গুরুজন আছে তাদের হাতে রাখতে হবে(না হয় বিয়ে কেনসেল)।

তারা অনেক ছোট ছোট বিষয়ে যেমন বদনাম করে ঠিক তেমনি আমরা ছোট ছোট বিষয় থেকে তাঁদের সুনাম অর্জন করতে পারি।
 
উদাহরণ হিসাবে, মনে করে আপনি মোবাইল ঠিপেন আর এমন কোন গুরুজপ নাই যে মোবাইল ঠিপা পছন্দ করেন তাই যখন তাঁদের সামনে যাবেন মোবাইল লুকাই ফেলবেন। 

আপনার লাগবে বিষয়টা অনেক ছোট কিন্তু এর পরের দিন দেখবেন সে আপনার সুনাম করতে করতে দোকান ফাটাই পেলতেছে।

আর ছোট বাচ্চাদের যথা সম্ভব আদর করার চেষ্টা করবে। এতে তার মা বাবাও এবং সেও খুশি।

তৃতীয়টি হচ্ছে ভাষা

ভাষা

ভাষা হল স্মার্ট হওয়ার মূল ভিত্তি।আমরা সাবাইতো কথা বলতে পারি তাইনা। জন্মের কয়েক বছর পরই আমরা কথা বলতে শিখি। কিন্তু কোথায় কি বলতে হবে এটা সারা জীবনেও অনেকেই শিখতে পারে না।

যাক, ভাষার ক্ষেত্রে আপনাকে যে বিষয় গুলি খেয়াল করতে হবে সেগুলো হল: আপনার ভাষা যথা সম্ভব স্পষ্ট হতে হবে।আর ইংরেজি আপনি বিলেতে পারলে ভাল না হয় বলা লাগবে না। 

ইংরেজি বলতে বলতে আপনার ভাষার সৌন্দর্য হারিয়ে পেলবেন না। সবার সাথে সুন্দর ভাষায় সম্মান দিয়ে কথা বলুন যত কম সম্ভব কথা বলুন। যুক্তি ছাড়া কথা বলা বন্ধ করুন। 

আর যেকারো সাথে তর্কে জড়াবেন না। আপনার বিপক্ষ যদি বেশি কথা বলে তাহলে তাকে একটা কথা বলবেন সেটি হল:

 "কোন গাধা যদি ঘাসের রং নিল বলে আমার তর্ক করা কোন প্রশ্নই উঠে না"।

   পোশাক পরিচ্ছেদ


একটি কোন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আবার কোন ক্ষেত্রে নয়।
যেমন আপনি কোন বিয়েতে গেলেন ভালো কাপড় পরে আপনার অপরিচিত মানুষ গুলি আপনাকে মোটামুটি সম্মান দিবে আর কাপড় মেইন খেলে শুরু হবে তখন, যখন আপনি খেতে বসবেন। 

দেখবেন ওয়েটার আপনাকে মেহেমান দারিদ্র করাচ্ছে এবং সব রকমের খাবার আপনার টেবিলে "মেজিক" তাই না!

এবার বলি কেন গুরুত্বপূর্ণ নয়। যেমন মার্কজুকারবার্গ ( ফেসবুক এর সিইও) সে দেখবেন বেশির ভাগ সময় পড়ে আছেন একটা বাদামি কালার টি শার্ট আর সাথে এক জোড়া কম দামি সেন্ডেল। তিনি তার পোশাক কে গুরুত্ব দেইনা তিনি সময় ও মেধাকে বেশি গুরুত্ব দেই। আশা করি বুঝতে পারছেন।

সর্বশেষ আপনাকে একটা কথাই বলতে চাই। জীবনে চলতে গেলে দুইটা জিনিস অবশ্যই লাগবে, একটি "টাকা" আরেকটি "উন্নত চিন্তা শক্তি"।
তাই বেশি বেশি বই পড়েন।


Hope you are enjoy that!
Happy reading!
Have a good day!

Previous Post Next Post