পদ্মা সেতু: বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেতু? (The Bridge)


পদ্মা সেতু হল বাঙালি গর্ব। এটি বাঙালির স্বপ্ন বাঙালির আশা।

সম্প্রতি আমাদের বাংলাদেশে তৈরি করা হয় এক বৃহত্তর সেতু।যেটি পদ্মা নদীর উপরে তৈরি করা হয়েছে বলে এই সেতুটির নাম রাখা হয় পদ্মা বহুমুখী সেতু। এটি বাঙালির গর্ব ও স্বপ্নের সেতু। সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় 2014 সাল থেকে এবং সেতুটি 2022 সালের 25 জুন শুভ উদ্বোধন করে।

একটি দেশের উন্নয়নের পিছনে অনেক বড় শর্ত হল দেশটির যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত করার জন্য নদীর এই পার থেকে ঐ পারে যাতায়তের সুবিদার জন্য তৈরি কার হয় সেতু।
একটি সেতু হল একটি জাতির গর্বের বিষয়।


বাংলাদেশের সম্প্রতি চালু হয়েছে পদ্মা বহুমখী সেতু। এটি বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার বিশাল উন্নয়ন করবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আজকে আপনাদের জানাব পদ্মা বহুমুখী সেতু বিশ্বের কত তম সেতু, এই সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রস্থ কত এসব সম্পর্কে এবং সাথে থাকছে বিশ্বের সেরা সেতুর তথ্য।

পদ্মা সেতু Padma Bridge


 মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম মাওয়া প্রান্ত দিয়ে সেতুর টোল প্রদান করে সেতুটি পার করে। 6.15 কিলোমিটার দৈর্ঘ্য  এবং  18.5 মিটার প্রস্ত  বিশিষ্ট বাংলাশের সবচেয়ে দীর্ঘ্তম সেতু এবং বিশ্বের সেতুর তালিকায় এটি  বিশ্বের 122 তম সেতু। এটি তৈরি করতে মোট খরচ হয় ৳৩০,১৯৩ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। এই সেতুটি মুন্সীগঞ্জের সাথে শরিয়তপুর এবং মাদারিপুর এই দুইজেলাকে একসাথে যুক্ত করেছে।
 
এটি বাংলাদেশের বহুমুখী সড়ক এবং রেল সেতু। এটির নির্মাণ খাজনা করে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিঃ নামে একচিলতে চীনা ইন্জিনিয়ারিং কম্পানি এবং নাকশা করেন এই সেতু এর। এটি স্টিল এবং কংক্রিটের তৈরি একটি চার লাইনের সেতু। 42 টি ষিলার এবং 150 মিটারের 41 স্পেনের মাধ্যমে সেতুটির মূল অবকাঠামো তৈরি করা হয়। 2019 সালে এটি বাঁধার জন্য মানুষের গলা প্রয়োজন বলে

বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় একটি বড় ধরনের গুজবও ছড়িয়েছিল। আর এই খবরের উপর ভিত্তি করে অনেক নিষ্পাপ মানুষকে মারধরও করেছেন লোকজন।

বিভিন্ন কিছুর উপর ভিত্তি করে গবেষকরা বলেছেন 9 বছরের মধ্যে উঠে যাবে পদ্মা সেতুর মোট খরচ। পদ্মা সেতু থেকে  আগামী 31 বছরে মোট 18.5 বিলিয়ন টাকা উঠবে।


 বিশ্বের সবচেয়ে বৃহতম 5 টি সেতু


এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার নাকম একটি কম্পানি প্রতিবছর বিশ্বের সেতুগুলোর দৈর্ঘ্য অনুযায়ী একটি তালিকা তৈরি করে।

এই তালিকার 1 নাম্বারে রয়েছে:

1. দানিয়াং-কুনশান গ্র্যান্ড ব্রিজ:

এই সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় 165 কিলোমিটার এবং গড় উচ্চতা 100 ফুট
এটি চীনে অবস্তিত। এই সেতুটি তৈরি শুরু করে 2008 সাল থেকে। 4 বছর কাজ করার পর সেতুটি তৈরি হয়। সেতুটিতে 10000 কর্মচারী কাজ করার পর 2011 সালে সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। এটি সেতু তৈরি করতে মোট ব্যয় হয় প্রায় 8.5 মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তর সেতু হল

2. চাংহুয়া-কাওশিউং ভায়াডাক্ট: 

এটি তাইওয়ান দেশে অবস্তিত। এই সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় 157 কিলেমিটার। এটি উদ্বোধন করা হয় 2007 সালে মানে আজথেকে প্রায় 14 বছর আগে। এই সেতুটি তাইওয়ান হাই স্পিড রেলওয়ের একটি বিশেষ অংশ। এটি 2007 থেকে 2012 সালের মধ্যে প্রায় 200 মিলিয়ন যাত্রী বহন করে।

পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তর সেতু হল

3. তিয়ান-জিন গ্র্যান্ড ব্রিজ:

এই সেতুটি চীনে অবস্তিত। এটির দৈর্ঘ্য প্রায় 113.8 কিলোমিটার। 2006 থেকে দীর্ঘ 5 বছর পর  এটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয় 2010 সালে।
এটি বেইজিং-সাংহাই নামক একটি রেলওয়ে বিশেষ অংশ।

 আরোও পড়ুন: বিশ্বের সেরা 10 জন ধনী ব্যক্তি।

পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তর সেতু হল:

4. ক্যাংদে গ্র্যান্ড ব্রিজ:

105 কিলোমিটার দৈর্ঘ্য নিয়ে চীনের আরে একটি সেতু বিশ্বের বৃহত্তর সেতুতে নিজের নাম তালিকা ভুক্ত করেছে। এই সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় 2010 সালে। এই সেতুতে রয়েছে প্রায় 3,092টি পিয়ার যা তেরি করা হয়েছে বিশেষ করে  কঠিন কঠিন ভূমিকম্প হারিকেন বন্যার মতো শক্তিশালী দুর্যোগের সাথে লড়াই করতে পারে। বেইজিং-সাংহাই নামক এক রেলওয়ের একটি বিশেষ অংশ হল সেতুটি।
 
পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তর সেতু হল:

5. ওয়েনান ওয়েইহে গ্র্যান্ড ব্রিজ:

এটির নির্এমাণ কাজ শেষ  হয় 2008 সালে। এটিও চীনের একটি উল্লেখযোগ্য নির্মাণ কাজ। এটির দৈর্ঘ্য হল 79.8 কিলোমিটার। এটির একটি রিলপথের অংশ যা ঝেংঝো এবং জিয়ান নামক দুইটি স্থানকে একত্রিত করেছে। এটি তৈরি করতে দশ হাজার শ্রমিক লেগেছে।

Comments